সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫: (Ministry of Social Welfare MSW Job Circular 2025) সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্প্রতি লোকবল নিয়োগ দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। একাধিক পদে লোকবল নিয়োগ দেবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আমরা আমাদের এই সাইটে আপনাদের সুবিধার্থে সম্পূর্ণ বিজ্ঞপ্তির বিবরণ দিয়েছি।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় জব সার্কুলার 2025: সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এর ওয়েবসাইটে একটি চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। অনেক বেকার লোক সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় চাকরি করতে চায়। এটি বেকার ব্যক্তির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চাকরির খবর। এটি বেকার মানুষের জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ। আপনি যদি এই চাকরির জন্য আবেদন করতে চান তবে অল্প সময়ের মধ্যে আপনার আবেদন জমা দেওয়া উচিত। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় তে চাকরি বাংলাদেশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় সরকারি চাকরি। আপনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য আমাদের govtjobscircular.net-এ জানতে পারবেন। দয়া করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সকল নিয়মাবলী/নির্দেশনার বিবরণ যাচাই করুন এবং যদি আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অন্যান্য অভিজ্ঞতার সাথে উক্ত চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত যোগ্যতার সাথে মেলে তবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত আবেদন ফরম পূরণ সংক্রান্ত নির্দেশনা/নিয়মাবলী অনুসরণ পূর্বক যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আবেদন করুন। আবেদন পত্র পূরণের ক্ষেত্রে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যেন কোনরূপ ভুল না হয় এবং আবেদন পত্র জমাদান করার পূর্বে প্রার্থী নিজে তথ্য সঠিক সে বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত হবেন।
Ministry of Social Welfare MSW Job Circular 2025
আপনি কি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সন্ধান করছেন? আজ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে একটি নতুন কাজের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আপনি আমাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির চিত্র, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় নিয়োগ পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় পরীক্ষার ফলাফল, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পিডিএফ ফাইলটি পরীক্ষা করতে পারেন। আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে সকল চাকরির খবর, চাকরির পরীক্ষার সময়সূচি, চাকরির পরীক্ষার ফলাফল পাবেন। আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন ধরণের চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছি। প্রতিদিন আমরা সরকারী চাকরি, বেসরকারি চাকরি, এনজিও জব, কোম্পানির চাকরি, নিউজ পেপার জব, খণ্ডকালীন চাকরী, চুক্তিভিত্তিক চাকরি, অস্থায়ী চাকরি, অনলাইন চাকরি, গ্লোবাল চাকরি ইত্যাদি প্রকাশিত করেছি সুতরাং আমাদের প্রকাশকৃত তথ্য আপডেট মিস করবেন না।
আমরা আপনাকে জানাতে পেরে খুব খুশি যে, সম্প্রতি একটি সরকারি চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। চাকরির বিজ্ঞপ্তিটি হলো: সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় । আপনি চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিবরণ, আবেদনের প্রক্রিয়া, আবেদনের শুরুর তারিখ এবং আবেদনের শেষ তারিখ, শূন্যপদের সংখ্যা ও সকল নির্দেশনাবলী/নিয়মাবলী তথ্য উত্স প্রয়োগ করতে পারেন। আপনি যদি নিজেকে সঠিক প্রার্থী মনে করেন তবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় অংশ হতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেরি করবেন না। চাকরির বিবরণটি সাবধানে পড়ুন আমরা নিম্নে আপনাকে বিস্তারিত দেখাব।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
প্রতিষ্ঠানের নাম: | সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় |
শূন্যপদের সংখ্যা: | ১৭ টি |
আবেদনের শুরু তারিখ: | ২৯-০১-২০২৫ খ্রি. |
আবেদনের শেষ তারিখ: | ২৭-০২-২০২৫ খ্রি. |
আবেদনের লিংক: | আগ্রহী প্রার্থীগণকে অনলাইনে http://msw.teletalk.com.bd/ এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন। |
সূত্র: | সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট। |
ওয়েবসাইট: | https://msw.portal.gov.bd/ |

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় :
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের পিছিয়েপড়া এবং অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর মানবসম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, কল্যাণ, উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন সাথে সংশ্লিষ্ট একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়। একটি কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ পরিচয় করিয়ে দিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, এসিডদগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় একইসাথে দেশব্যাপী গ্রামীণ এবং শহুরে উভয় এলাকায় সমাজের পিছিয়েপড়া, অনগ্রসর অংশ, বেকার, ভূমিহীন, অনাথ, দুঃস্থ, ভবঘুরে, নিরাশ্রয়, সামাজিক, বুদ্ধিমত্তা এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, দরিদ্র, অসহায় রোগী, ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের কল্যাণ ও উন্নয়নে বহুমাত্রিক এবং নিবিড় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫(ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয়ের সাথে সংযুক্ত দপ্তর ও সংস্থাসমূহের মাধ্যমে এ সকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। কার্যক্রমসমূহ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি), ভিশন ২০২১ ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বর্ণিত লক্ষমাত্রাসমূহ অর্জনের লক্ষ্যে গ্রহণ করা হয়েছে।কার্যক্রম বাস্তবায়নে অধিকতর গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা আনয়নের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় দাতব্য পদ্ধতির পরিবর্তে গ্রহণ করেছে উন্নয়ন পদ্ধতি।পরিবারকেন্দ্রিক কর্মসূচি ও সঠিক কর্মপরিকল্পনা বাংলাদেশের মানুষের কাছে এ মন্ত্রণালয়কে করেছে জনপ্রিয়।ভিশন ও মিশন ভিশন
উন্নত জীবন এবং যত্নশীল সমাজ। মিশনসামাজিক সুরক্ষা, ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নের মাধ্যমে দরিদ্র, অসহায় জনগোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নত জীবন প্রস্তুত।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এর পরিচিতিঃ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর এদেশে ভারত থেকে মোহাজেরদের আগমন ঘটে। ফলে তৎকালীন প্রাদেশিক রাজধানী ঢাকায় বস্তি সমস্যাসহ সৃষ্টি হয় নানা সামাজিক সমস্যা। এসকল সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৫৫ সালে স্বাস্থ্য পরিদপ্তরের আওতায় সর্বপ্রথম ঢাকার কায়েতটুলিতে ‘শহর সমাজসেবা কার্যক্রম’ চালু হয়। পাশাপাশি সামাজিক সমস্যা নিরসনে ও সমাজকল্যাণ কর্মকান্ডে স্বেচ্ছাসেবী কর্মী ও সংগঠনকে উৎসহ ও সহযোগিতা প্রদানের জন্য একটি রেজল্যুশনের মাধ্যমে ১৯৫৬ সালে গঠিত হয় সমাজকল্যাণ পরিষদ।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসমূহের কর্মকাণ্ডকে একটি নিয়মনীতির আওতায় আনয়নের জন্য ১৯৬১ সালে জারী করা হয় ‘স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাসমূহ (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ’। ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে স্থানান্তরিত ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র, শিক্ষা পরিদপ্তর হতে স্থানান্তরিত সরকারি এতিমখানা এবং সমাজকল্যাণ পরিষদ হতে হস্তান্তরিত হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব প্রাপ্তির মাধ্যমে কাঠামোগতভাবে ১৯৬১ সালে স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সমাজকল্যাণ পরিদপ্তর সৃষ্টি হয়।
১৯৭২ সালে স্বাধীন দেশের উপযোগী করে শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় নামে এ মন্ত্রণালয় কার্যক্রম শুরু করে। একই সময় সমাজকল্যাণ পরিষদ নতুন রেজল্যুশনের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ’ গঠিত হয়। শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন সমাজকল্যাণ পরিদপ্তরের কার্যক্রম দেশব্যাপী সম্প্রসারণ এবং সদ্য স্বাধীন দেশের সামাজিক সমস্যাসমূহ টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালে শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সমাজকল্যাণ পরিদপ্তর সমাজকল্যাণ বিভাগ হিসেবে উন্নীত হয় এবং বাংলাদেশে ইতিহাসে সর্বপ্রথম ‘পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম’ নামে ‘ক্ষুদ্রঋণ’ কর্মসূচি চালু হয়। ১৯৭৮ সালে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সরকারের একটি স্থায়ী জাতিগঠনমূলক বিভাগ হিসেবে মর্যাদা লাভ করে।
১৯৮৪ সালে সরকারের বিভাগ পুনর্গঠন সম্পর্কিত প্রশাসনিক কমিটির সুপারিশক্রমে সমাজকল্যাণ বিভাগকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে ।
১৯৮৪ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মহামান্য প্রেসিডেন্ট শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল-নাহিয়ান এ অর্থায়নে গঠিত শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল-নাহিয়ান ট্রাস্ট (বাংলাদেশ), বাংলাদেশ সরকার ও আবুধাবী ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (ADFAED) এর মধ্যে একটি সম্মত কার্যবিবরণী’র ভিত্তিতে গঠিত হয়। যা পরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়।
১৯৮৯ সালের ০৯ নভেম্বর তারিখ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় একক নামে একটি সম্পূর্ণ পৃথক মন্ত্রণালয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং ২১ ডিসেম্বর ১৯৮১ তারিখে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কার্যতালিকা (Allocation of Business) নির্ধারণ করা হয়।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এবং সুইডিস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (সিডা) এর আর্থিক ও কারিগরী সহায়তায় টংগীতে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের বৃত্তিমুলক প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র এর শিল্প উৎপাদন ইউনিট স্থাপন করা হয়। সুইডেন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের নিদর্শনস্বরূপ উক্ত শিল্প উৎপাদন ইউনিটির নাম রাখা হয় ‘মৈত্রী শিল্প’। ১৯৯০ সালের ১২ ডিসেম্বর সরকার ‘শারীরিক প্রতিবন্ধী কল্যাণ ট্রাস্ট’ নামে একটি ট্রাস্ট গঠনপূর্বক উক্ত ট্রাস্টের আওতায় গঠিত বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর নিকট ‘মৈত্রী শিল্প’ হস্তান্তর করে।
দেশের প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের জন্য দ্য সোসাইটিজ রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট, ১৮৬০ এর আওতায় ১৯৯৯ সালে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন নিবন্ধিত হয় ও এর সংঘস্মারক ও গঠনতন্ত্র প্রণীত হয়। ২০০০ সালে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনকে এ মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা হিসেবে ন্যস্ত করা হয়। জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনকে একটি পূর্ণাঙ্গ অধিদপ্তরে রূপান্তর করার জন্য ইতোমধ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
২০১৩ সালে মহান জাতীয় সংসদে ‘নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন, ২০১৩’ অনুমোদিত হয়। উক্ত আইনের আওতায় ২০১৪ সালে গঠিত হয় ‘নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট যা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণাধীন নবীনতম সংস্থা।